ভিক্ষা করিস কেন খেটে খেতে পারিস না

 পথ শিশু নিয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও তাদের নিয়ে চিন্তা করার মানুষ কমই রয়েছে। ওদেরকে শুধূ আমরা ঠেকার কাজ সর্বোপরী বড় হলে ক্ষমতা ধরে রাখার কাজে ব্যবহার করে থাকি। আবার কেউ কেউ ভাবি “ওরা তো সমাজের অবহেলিত মানুষ একবেলা খেয়ে দুবেলা না খেয়ে চললেই ওদের হলো।” কিন্ত আমরা প্রত্যককে যদি নিজের পূর্ব পুরুষের কথা চিন্তা করি-তো তখনই ধারণাটা পাল্টে যাবে যে আমাদের কজনের বাপ দাদারা জমিদার ছিলো বা আমরা কজন সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলাম। বরং ইদানিং তো হাতের নাগালে অনেক ইতিহাস আছে যে বাবা কিছুদিন আগে বাদাম বিক্রি করতো  এখন তার ছেলে ইংলিশ মিডিয়ামে লেখা পড়া করে। কারণ রাতারাতি তার টাকার প্রমোশন বেড়েছে। এখন ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া এই ছেলেটিই হয়তো একদিন বড় অফিসার হবে বিদেশীে ডিগ্রী অর্জন করবে। হয়তো কখনো স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে এই ছেলেটিই একসময় তার স্ট্যাটাস বজায় রাখতে বলেই ফেলবে আমার দাদা জমিদার ছিলেন। এখন কথা হচ্ছে এ ধরণের মানুষ যদি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, তো পথের কোনায় অথবা ফুটপাথে পড়ে থাকা এই শিশুটিও একদিন মস্ত বড় মানুষ হবে। রাস্তা ঘাটে পথে প্রান্তরে কোন পথশিশু সাহায্যের আবেদন করলে এত বড় বড় বুলি উড়িয়ে ওদের গালি দেয়ার কি দরকার আছে। কত আজে বাজে ভাবেই তো নিজের সম্পদ হরহামেশা নষ্ট করি, ওকে দশটা টাকা দিলে একটা প্রয়োজন সাড়ে। আরেকটু চিন্তা করলে ওর বেচেঁ থাকার আশ্বাস বাড়ে। আর যদি একটু ভালোভাবে ওদেরকে নিয়ে চিন্তা করি, সেই তো আগামী দিনের কর্ণধর যে জাতির পথ চলার রশি ধরবে। ধ্যত, এতকিছু ভাবার সময় আছে। খাচ্ছি দাচ্ছি, আড্ডা দিচ্ছি, বাচ্চা দুটি ভালো স্কুলে পড়ে, এত বড় সামাজিক ষ্ট্যাটাস- পরের তা পরে হবে। চলবে---

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন