সময়ের গতি আগেও ছিলো এখনো আছে, পৃথিবীর শেষ সময় পর্যন্ত ও থাকবে। ভাগ্যের চাকা বলে যে কথাটি সমাজে প্রচলিত, তা কিন্তু একবারেই অনর্থক নয়। সর্বদাই আমাদেরকে ভাগ্যের পরীক্ষা দিতে হয়। কর্মের সুনিপণ কারুকার্যের মধ্যেও আমরা অধিকাংশই ভাগ্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হই। মৃত্তিকা েগঠণের বৈজ্ঞানিক মূল পাঁচটি নিয়ামকের মতো আমাদের জীবন প্রণালী অতিবিাহিত হচ্ছে
১. মূল উপাদান ২. ভৌগোলিক অবস্থা ৩.জীব মন্ডল ৪. জলবায়ু ৫. সময় ইত্যাদি আমদের জীবন গঠনেও পরোক্ষাভাবে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মূল উপাদান : একটি মৃত্তিকা গঠণের ক্ষেত্রে যে মূল উপাদান সেটিকে একটি পৃথক বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করে, ঠিক তেমনি আমাদের প্রভু আমাদের প্রত্যেককে এমন কিছু আলাদা মূল উপাদান দিয়ে বানিয়েছেন-যা অপর থেকে সম্পুর্ণ আলাদা। তো বলাই যায়, এ গুণে কেবল আমিই সবার সেরা
ভৌগোলিক অবস্থা : এলাকার ভৌগোলিক অবস্থা- উচুঁ ও নিচুঁ শ্রেণির ব্যক্তিত্ব এটাকে পরিগ্রহ করে। সুতরাং আমরা এটাকে সমানভাবে উপভোগ করে চলেছি। এখানেও আমরা সমপর্যায়েঅবস্থান করছি। ভৌগোলিকভাবে আমরা প্রকৃতির অনুকূল ও প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকে এক সংগ্রামী জীবন অতিবাহিত করে আসছি। তো ভৌগোলিকভাবে আমরা সমান সংগ্রামী।
জীব মন্ডল : মনে করি, আমি একজন ঘর কোনে ছেলে। গ্রামের কারো সাথে তেমন যোগাযোগ করার চেষ্টা করি না। তাহলে এটাই কি সত্যি যে আমাকে কেউ চেনে না ? আসলে সকলেই আমাকে চেনে। যোগাযোগের ধরণের ক্ষেত্রে হয়তো অনেকে আমাকে তেমন কেয়ার করে না। আমি যে কথা বলি না- এটা নিয়েও প্র্রতিদিন চায়ের স্টলে ঝড় ওঠে, আর গ্রামে গ্রামে তো বটেই। আমরা যারা কম কথা বলি বা কম মিশি গ্রামে গিয়ে এটার প্রমাণ হাতে নাতে দেখতে পারি যে আমার স্বকীয়তা তাদের কাছে কত বেশি। দূর্নাম করে ও আমার জয়গান গেয়ে যাচ্ছে।
জলবায়ু : ছয়ঋতু-চার ঋতু আর দুই ঋতুর এ ধরায় আমরা বৈচিত্যময়তার স্বাক্ষী স্বরুপ ভিন্নমাত্রার শারীরীক গঠন লাভ করেছি। চিন্তা ধারাটাও একটু আলাদা ধাচের। কারো পেশি শক্তি যতই থাক অথবা শারীরীক শক্তিতে আমি খুবই দূর্বল। কিন্তু চিন্তা ও চেতনা শক্তির এক অপূর্ব ভান্ডার আল্লাহতায়লা কেবল আমাকে দান করেছেন যেটা আর কাউকে দেননি। একটু ঘসা মাজা করলেই সে ভান্ডার তোমার সামনে জোজুল্যমান হবেই।
সময় : এটাকেই বোঝাতে উপরের চারটি নিয়ামকের ব্যাখ্যা করা। আমি তুমি প্রায় সকলেই এই একটি জায়গায় বেশিরভাগ সময় হার মেনে যাই। আমরা সব কিছু করবো কিন্ত সময়ের বেলায় আমাদের সময় থাকে না। প্রতি নিয়ত সময়ের অপরিণতি অবস্থার অযৌক্তিক ব্যবহার আমাদের সুপ্ত ক্ষমতা বিনষ্ট করছে। আমরা জেনেও জানছি না, মেনেও মানছি না। প্রায় ক্ষেত্রেই দক্ষ মানব অদক্ষ কাজে নিজের জীবন উৎসর্গ করছে। বিশ্বাস করি আর না করি চুপ চাপ বসে সময়ের অপেক্ষা করাও একটা বিরাট ব্যক্তিত্বের ব্যাপার। কেননা আমার সব আছে কিন্তু পূর্ণ দান করার জন্য তো সময়ের কাছে তাকে ন্যস্ত করতে হবে। সময় গেলে যেমন সাধন হবে না, তেমনি পূর্ণ সময় ছাড়া ফল ও হবে না।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন